জরুরী নম্বর সমূহ

জরুরী নম্বর সমূহ

পাকিস্তানে ভারি বর্ষণ ও ভূমিধসে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু, শতাধিক পর্যটক আটকা


আর্ন্তজাতিক সংবাদ:

পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তান (জিবি), আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর (এজেকে) এবং খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি) প্রদেশের বাজৌর জেলায় টানা ভারি বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এছাড়া দুর্গম অঞ্চলে সড়ক ও সেতু ধ্বংস হয়ে পড়ায় ৩০০–এরও বেশি পর্যটক আটকা পড়েছেন। খবর জিও নিউজের।

জিবি সরকারের মুখপাত্র ফায়জুল্লাহ ফারাক জানান, ঘিজারের খালথি উপত্যকায় এক নারীসহ তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে অন্তত ছয়টি বাড়ি। তিনজন এখনো নিখোঁজ। ডায়ামের বনার এলাকায় ভাই-বোন প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে এবং বাবুসর সড়কে ভূমিধসে এক শিশু আহত হয়েছে।

ঘিজারের ইয়াসিন থোই এলাকায় আকস্মিক বন্যায় ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, পানির ট্যাংক ও কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিধসে বালতিস্তান ও সাদপাড়া সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ডায়ামের থোর ও আস্তোর উপত্যকাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কোহিস্তানে করাকোরাম মহাসড়কের একটি সেতু ধ্বংস হওয়ায় জিবি ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। জিবি সরকার জরুরি অবস্থা জারি করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও রেসকিউ ১১২২-কে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। ফারাক বলেন, “এটি গিলগিট-বালতিস্তানের জন্য কঠিন সময়, সরকার সব ধরনের সম্পদ কাজে লাগাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায়।”

এদিকে এজেকের মুজাফফরাবাদের নাসিরাবাদ তেহসিলে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। টানা বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় স্থানীয় নদীগুলো উপচে পড়েছে। বাগ জেলায় নদীর পানি উপচে পড়ে সামাহনির ভিম্বার নালায় পর্যটকবাহী একটি গাড়ি ভেসে গেলেও সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ঝেলাম ভ্যালি, সামাহনি, হাত্তিয়ান বালা ও নীলম ভ্যালিতে পানির প্রবাহ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এজেকের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ার উল হক জরুরি বৈঠকে নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা এবং গৃহহীনদের জন্য আবাসনের নির্দেশ দেন। পানিসম্পর্কিত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে জরুরি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।

ভারি বৃষ্টি ও ভূমিধসের ঝুঁকিতে ১৫ ও ১৬ আগস্ট এজেকের সব সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এজেকের তথ্যমন্ত্রী মাজহার সাঈদ জানান, নীলম ভ্যালির রাত্তি গালি এলাকায় সড়কের অংশ ভেসে যাওয়ায় ৭০০–এরও বেশি পর্যটক, যার মধ্যে ৩০০–এর বেশি নারী ও শিশু রয়েছে, আটকা পড়েছেন। উদ্ধারকাজ চলছে।

Powered by Blogger.