সেন্টমার্টিনের বিক্রি হওয়া ৮ হাজার টিকিটের যাত্রী পর্যায়ক্রমে যাবে: জেলা প্রশাসক
শৈবাল বড়ুয়া:
১০ মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার সকালে তিনটি পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করবে। অনলাইনে ৮ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হলেও প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ হাজার পর্যটক দ্বীপে প্রবেশের অনুমতি পাবে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
রোববার সন্ধ্যায় নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নোঙর করা জাহাজগুলো পরিদর্শনে গিয়ে জেলা প্রশাসক মো. আ. মান্নান বলেন, “কোনোভাবেই ২ হাজারের বেশি পর্যটক সেন্টমার্টিন যেতে পারবে না। প্রতিদিনের ধারণক্ষমতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।” ঘাটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সৌজন্য উপহার হিসেবে দেওয়া হবে অ্যালুমিনিয়ামের পানির বোতল।
৮ হাজার টিকিট বিক্রির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা টিকিট নিয়েছেন তারা পর্যায়ক্রমে সেন্টমার্টিন যাওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রতিদিনের কোটা ২ হাজারের বেশি নয়।
সরকার ঘোষিত ১২টি নির্দেশনা বাস্তবায়ন সম্পর্কে জেলা প্রশাসক জানান, পরিবেশ সুরক্ষা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোরভাবে তদারকি করা হবে। সকল পর্যটককে নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
সরকারি নির্দেশনায় ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে একদিন রাত্রিযাপন, সৈকতে বারবিকিউ পার্টি নিষেধ, প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার না করা, মোটরচালিত যান নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন পরিবেশ-সম্পর্কিত বিধিনিষেধ রয়েছে। এসব শর্ত মেনেই ১ ডিসেম্বর নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে কর্ণফুলি এক্সপ্রেস, বারো আউলিয়া ও কেয়ারী সিন্দবাদ জাহাজ তিনটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেবে।
প্রথম দিনে অনুমোদিত ২ হাজার পর্যটক দ্বীপে গিয়ে এক রাত অবস্থান করে নির্দেশনা মেনে পরদিন ফিরে আসবেন।
