টেকনাফ সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ, আতঙ্কে সীমান্তবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদক:
টেকনাফ
সীমান্ত ঘেঁষা
হোয়াইক্যং এলাকায়
শনিবার
ভোরের
অন্ধকার ভাঙতেই
শুরু
হয়
মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও
গোলাগুলির বিকট
শব্দ।
কয়েক
ঘণ্টা
ধরে
থেমে
থেমে
চলা
এই
শব্দে
ঘুম
ভেঙে
যায়
সীমান্ত এলাকার
মানুষের। অনেকেই
ঘর
ছেড়ে
নিরাপদ
আশ্রয়ের খোঁজে
ছোটাছুটি করেন,
কেউ
আবার
আতঙ্কে
ঘরের
ভেতরেই
আশ্রয়
নেন।
স্থানীয়রা জানান,
ভোর
থেকে
সকাল
পর্যন্ত প্রায়
চার
ঘণ্টা
ধরে
মিয়ানমার সীমান্তের ভেতর
থেকে
মর্টারশেল নিক্ষেপ ও
গুলির
শব্দ
শোনা
গেছে।
একপর্যায়ে নাফ
নদীতে
মর্টারশেল পড়ার
পর
ধোঁয়ার
কুণ্ডলী উঠতে
দেখা
যায়।
সীমান্তবর্তী ঘরবাড়ি
কেঁপে
ওঠে
বিস্ফোরণের শব্দে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২
নম্বর
ওয়ার্ডের ইউপি
সদস্য
সিরাজুল মোস্তফা লালু
বলেন,
গোলাগুলির সময়
কয়েকটি
বসতঘরের টিনের
চালা
ভেদ
করে
গুলি
এসে
পড়ে।
হোয়াইক্যং বাজার
ও
আশপাশের এলাকায়
আতঙ্ক
আরও
বেড়ে
যায়।
যদিও
কেউ
হতাহত
হয়নি,
তবু
জীবন
নিয়ে
চরম
শঙ্কায়
পড়েন
স্থানীয়রা।
পুলিশ
সূত্র
জানায়,
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান
সংঘাতের জেরেই
এসব
গোলাগুলি ও
মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনা
ঘটতে
পারে
বলে
ধারণা
করা
হচ্ছে।
হোয়াইক্যং পুলিশ
ফাঁড়ির
ইনচার্জ এসআই
খোকন
কান্তি
রুদ্র
জানান,
সীমান্তের দিক
থেকে
গোলাগুলির শব্দ
ও
বাড়িতে
গুলি
পড়ার
তথ্য
পাওয়া
গেছে
এবং
বিষয়টি
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো
হয়েছে।
বারবার
এমন
ঘটনার
পুনরাবৃত্তিতে সীমান্তবাসীর মনে
নতুন
করে
প্রশ্ন
দেখা
দিয়েছে—এই সংঘাত কতটা
নিরাপদ
বাংলাদেশ অংশের
জন্য?
সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কী
ধরনের
পদক্ষেপ নেওয়া
হচ্ছে,
তা
নিয়েও
উদ্বেগ
বাড়ছে।
পরিস্থিতি নজরদারিতে থাকলেও
আতঙ্ক
কাটেনি
হোয়াইক্যংয়ের সাধারণ
মানুষের।
