হানিয়া আমির খালি পেটে ৩–৪টা নাগা মরিচ দিয়ে ফুচকা খেয়েছে
বিনোদন সংবাদ:
নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক নাঈম এখন অভিনয় থেকে দূরে। নবাব স্যার সলিমুল্লাহর প্রপৌত্র এই তারকা বর্তমানে পরিবারকেন্দ্রিক জীবনযাপন করছেন। তার দুই মেয়ে—নামিরা নাঈম ও মাহাদিয়া নাঈম। বড় মেয়ে নামিরা দেশে থেকে পোশাক ব্যবসা শুরু করেছেন, আর ছোট মেয়ে মাহাদিয়া রয়েছেন দেশের বাইরে।
সম্প্রতি নামিরার জীবনে একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা যোগ হয়েছে। পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের সঙ্গে ঢাকার ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিলে টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন তিনি।
নামিরা জানান, ইউটিউবার রাফসান দ্য ছোটভাইয়ের একটি ভিডিও ভ্লগের শুটিংয়ের সূত্রেই এ পরিচয় ঘটে। রাফসানের পরিকল্পনা ছিল আহসান মঞ্জিলে শুটিং করার। নবাব পরিবারের উত্তরসূরি হিসেবে নামিরার মাধ্যমে শুটিংয়ের অনুমতি মেলে। সেই আয়োজনেই যোগ দেন হানিয়া আমির।
নামিরা বলেন, “ভোর সাড়ে চারটায় আমরা আহসান মঞ্জিলে যাই। হানিয়া আসেন সাড়ে পাঁচটার দিকে। এরপর টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা শুটিং হয়। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে আমরা বেরিয়ে পড়ি।”
শুটিংয়ের বাইরে ব্যক্তিগত আলাপচারিতাতেও কাটিয়েছেন ভালো সময়। হানিয়া পাকিস্তানে নামিরাদের আত্মীয়স্বজনের প্রসঙ্গ শুনেছেন। আলোচনায় উঠে এসেছে পাকিস্তানি ডিজাইনার আমির আদনান ও শিল্পী আলী জাফরের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের কথাও। হানিয়ার ব্যক্তিত্ব নিয়ে ভিন্ন অভিজ্ঞতার কথাও জানান নামিরা।
তিনি বলেন, “ইনস্টাগ্রামে তাকে যেমন দেখি, সামনাসামনি তিনি আরও প্রাণবন্ত ও খোলা মনের মানুষ। আমরা খুব মজা করেছি।”
ঢাকায় অবস্থানকালে পথের খাবারের অভিজ্ঞতাও নেন হানিয়া আমির। নামিরা বলেন, “শুটিংয়ের সময় হানিয়া এখনো নাশতা করেনি। খালি পেটে নাগা মরিচের ঝালমুড়ি খেলো দারুণ মজা করে। ফুচকাও খেলো ৩–৪টা নাগা মরিচ দিয়ে। আমরা মরিচের ঝালে কাহিল হয়ে যাচ্ছি, অথচ তার কাছে এটা একেবারেই স্বাভাবিক।”
হানিয়ার এই সফর ঢাকায় ভক্তদের মধ্যে যেমন উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে, তেমনি নামিরার কাছেও এটি হয়ে উঠেছে একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।