ড. ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন: কি কারণ তা জানালেন ফুয়াদ
সংবাদ ডেস্ক:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফুয়াদ বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতে ১৮ ও ৭৩ একতরফা নির্বাচন করেছে, যা তিনি "আনফেয়ার" বলে উল্লেখ করেন। তার মতে, এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও একতরফা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, বিএনপির ইতিহাসে এই প্রথম প্রতিটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো পর্যাপ্ত প্রার্থী নেই। সব দল একত্রিত হলেও বিএনপির বিপক্ষে ১০০টি আসনে প্রার্থী দাঁড় করানো কঠিন হবে।
তিনি জানান, বিএনপির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দলটির ভেতর থেকেই আসতে পারে। প্রায় ১৩০-১৩৫ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন, যারা একে অপরের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে আছেন।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে ফুয়াদ বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে একমত হলেও বাস্তবায়নের সময়সীমা নিয়ে মতবিরোধ আছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে ১০০-তে বৃদ্ধির মতো সিদ্ধান্ত কেন ২০৩১ সালের আগে কার্যকর হবে না। একইভাবে, নারীদের সরাসরি নির্বাচনে ৫% মনোনয়ন বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুই মেয়াদের সীমা নির্ধারণের মতো প্রস্তাবগুলোও এখনই বাস্তবায়নের পক্ষে মত দেন তিনি।
এবি পার্টির এই নেতা বলেন, সব দল নির্বাচনে গেলেও বিএনপির একতরফা বিজয়ের সম্ভাবনা আছে, যা নির্বাচনের প্রতিযোগিতামূলক চরিত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তার মতে, জামায়াত ও চরমোনাই পিআর (Proportional Representation) ইস্যুতে অনড় থাকলে এবং এনসিপি সংস্কার ও জুলাই সনদের বাস্তবায়নপদ্ধতিতে অটল থাকলে তারা নির্বাচনে অংশ না-ও নিতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে, ফুয়াদের আশঙ্কা, নির্বাচনের একতরফা রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে, যা দেশের জন্য বা বিএনপির জন্য সম্মানজনক হবে না। তিনি আরও বলেন, এর ফলে ড. ইউনূস নির্বাচনকালীন একটি সরকার গঠন করে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পথ বেছে নিতে পারেন, যেহেতু অতীতেও তিনি কয়েকবার পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছেন।