জরুরী নম্বর সমূহ

জরুরী নম্বর সমূহ

গুলশানে চাঁদাবাজি : কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ জড়িত কিনা জানতে তদন্ত চলছে


সংবাদ ডেস্ক: 
রাজধানীর গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর আরও কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

ডিসি তালেবুর বলেন, “চাঁদাবাজির সঙ্গে আরও কারা জড়িত, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় কোনো নেতৃত্বের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।” তিনি জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে এবং চক্রটির অন্য সদস্যদেরও দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে।

ঘটনার ধারাবাহিকতায় জানানো হয়, গত ১৭ জুলাই গুলশানে সাবেক এক সংসদ সদস্যের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অভিযুক্তরা। তারা নিজেদের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ নেতাকর্মী পরিচয় দেন এবং প্রথম দফায় জোরপূর্বক ১০ লাখ টাকা আদায় করেন। পরে ১৯ ও ২৬ জুলাই বাকি অর্থের জন্য ফের চাপ সৃষ্টি করলে পুলিশ পাঁচজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে।

পরবর্তীতে প্রযুক্তির সহায়তায় পলাতক অভিযুক্ত জানে আলম অপুকে গোপীবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধেও সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন: জানে আলম অপু, মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. আমিনুল ইসলাম, ইব্রাহিম হোসেন মুন্না ও আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ। রিয়াদের বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক এবং বাড্ডার আরেকটি বাসা থেকে নগদ ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সংগঠনটির ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়কসহ তিনজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং দেশের সব শাখার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে সংগঠনটি।

Powered by Blogger.