নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার : নিহত-৫
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত পয়েন্ট নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমার থেকে নতুন করে
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ
বিজিবি সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ বেলালের মরদেহ ৩০ ঘণ্টা পর সাগর থেকে ভাসমান
অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৩ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে টেকনাফ
উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম পাড়া সৈকত এলাকা থেকে
মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায়
টেকনাফের নাফ নদীর দমদমিয়া এলাকা থেকে এক শিশুসহ চার রোহিঙ্গার মরদেহ
উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচজনে। মৃত বিজিবি সদস্য
মোহাম্মদ বেলাল (২৮) বিজিবির শাহপরীরদ্বীপ সীমান্ত ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
তার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। তিনি ওই এলাকার মো. বজলুর রহমানের ছেলে। ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি বিজিবিতে যোগে দেন তিনি।
টেকনাফ
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান, রবিবার দুপুরে শাহপরীর
দ্বীপ পশ্চিমপাড়া বঙ্গোপসাগর থেকে নিখোঁজ বিজিবির সদস্যের মরদেহটি উদ্ধার
করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান জানান, গত শুক্রবার
মধ্যরাতে নাফ নদীর শাহপরীরদ্বীপ এলাকায় রোহিঙ্গাবোঝাই ট্রলার ডুবির পর
বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার অভিযান চালান।
রোববার
সকালে শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম পাড়া সৈকতের অদূরে সাগরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে
কোস্টগার্ড ও বিজিবির সদস্যরা তা উদ্ধার করেন। এরপর মরদেহটি
শাহপরীরদ্বীপের পশ্চিম পাড়া সৈকত নৌঘাটে নিয়ে আসা হয় এবং পরে বিজিবি
সদস্যরা তা নিয়ে যান।
দায়িত্বশীল সুত্রে জানায়, মরদেহ কক্সবাজার সদর
হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে কক্সবাজার বিজিবি সদর
রিজিওনে জানাজার পর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে।
এ ঘটনায় এখনও
কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে নাফ নদী ও
সাগরের বিভিন্ন স্থানে উদ্ধার অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এখন
পর্যন্ত ২৫ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।