নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে না
বেশিরভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী
নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে না। একটা পণ্যের দাম কমলে অপর তিনটি পণ্যের দাম বাড়ছে। সরবরাহে খুব একটা ঘাটতি না থাকলেও বেশির ভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।
বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম
সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম তবে অপরিবর্তিত রয়েছে আমদানি পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম। বাজারে ক্রস জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। এর মধ্যে ছোট ও বড় সাইজের পেঁয়াজ একই দামে বিক্রি হয়েছে। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা করে। দেশি রসুন ২৬০ টাকা, চায়না রসুন ২৪০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১৪০ দরে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি পেঁয়াজের দাম রয়েছে অপবির্তিত আর দেশি পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। এছাড়াও চায়না আদার দাম কমেছে ৪০ টাকা এবং ভারতীয় আদার দাম বেড়েছে ২০ টাকা।
চাক্তাইয়ের পচনশীল মসলাজাত পণ্য আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী মো. ফোরকান বলেন, ‘দেশী পেঁয়াজ বাজারে তেমন নেই। কৃষি পর্যায়ে খরচ বাড়তির কারণে দেশি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা দর কমাতে পারছে না। তবে সরবরাহ বাড়াতেই পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম সামনে আরও কমতে পারে।’
স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারে গত দুই সপ্তাহ ধরে পর্যাপ্ত সরবরাহ হলেও স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও।
প্রকারভেদে মাছের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ থেকে ১০০ টাকা। ক্রেতারা মাছ
কিনতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। নদী ও হাওরের মাছ সাধারণ মানুষের
ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে অনেক আগেই। চাষের মাছও এখন বেশ চড়া দামেই
বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আকার ও ওজন অনুযায়ী ইলিশ মাছ ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা, রুই মাছ ৩৫০
থেকে ৫০০ টাকা, কাতলা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার
৪০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কৈ মাছ ২০০ থেকে ৭০০ টাকা, পাবদা
মাছ ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৪০০
থেকে ৯০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, শোল মাছ ৮০০ থেকে ১
হাজার ২০০ টাকা, মেনি মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিতল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার
টাকা, সরপুঁটি ৫০০ টাকা এবং রূপচাঁদা মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি
দরে বিক্রি হয়েছে।
ক্রেতা রশিদুর রহমান বলেন, ‘এখন ১০০ টাকার নিচে কোন সবজি বাজারে নেই। ১
হাজার টাকা নিয়ে বাজারে আসলেও চাহিদা অনুযায়ী তেমন কিছু কেনা যায় না।’