কক্সবাজারে ২১ জাতিগোষ্ঠীর 'বিচ ফেস্টিভ্যাল'


কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে শুরু হয়েছে চাকমা, মারমা, ম্রো, বাঙালিসহ ২১টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে 'বিচ ফেস্টিভ্যাল’; যেখানে একুশের গান এবং দেশের গান থেকে শুরু করে ‘মারমা পাখা নৃত্য’, ‘বম জীবন ধারা নৃত্য’সহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি তুলে ধরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সেলের ব্যবস্থাপনায় এই আয়োজনের শুরুর দিন ছিল শুক্রবার। শনিবারও সৈকতের লাবনী পয়েন্টে উন্মুক্ত এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন রাখা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে।


উৎসবে অংশ নিয়েছে চাকমা, মারমা, ম্রো, ত্রিপুরা, লুসাই, খুমি, বম, খেয়াং, চাক, পাংখোয়া, তঞ্চঙ্গ্যা, মনিপুরি, সাঁওতাল, মাহালী, ওরাওঁ, মালপাহাড়িয়া, গারো, হাজং, কোচ, রাখাইন সম্প্রদায়ের শিল্পীরা।

এছাড়া কক্সবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি এবং স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের বাঙালি শিল্পীরাও উৎসবে যোগ দিয়েছেন।

উৎসবের উদ্বোধনী দিন প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্‌উদ্দিন। অনুষ্ঠানের সমন্বয় করেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম শামীম আকতার।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি জনগণের মাঝে জনবান্ধব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে চাই। কক্সবাজার আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন মানুষ আসেন পর্যটনের জন্য। তার সাথে আমাদের পাহাড় সংলগ্ন স্থান। কাজেই এই জায়গায় আমরা যদি এমন কোনো অনুষ্ঠান উপস্থাপন করতে পারি যাতে বাংলাদেশের মানুষ এতদিন যে কঠিন সময় পার করছে, সেই সময় নতুন স্বপ্নের বীজ বপন করতে পারি তাদের মাথায় তাহলে আমাদের কার্যক্রম স্বার্থক হবে।”

আলোচনা পর্ব শেষে বান্দরবান জেলার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনা শুরু হয়।


Powered by Blogger.