কক্সবাজারে নীরিহ লোকজনের পৈত্রিক জমিতে বাড়ি করতে প্রভাবশালীদের বাধা, আদালতে ভুক্তভোগীদের আবেদন


সংবাদ প্রতিবেদন।।
কক্সবাজারের সদর উপজেলার পূর্ব খরুলিয়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদার পাড়া এলাকার জনৈক আলী আহমদ সিকদার এর সন্তানদের পৈত্রিক জমিতে বাড়ি করতে গেলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র অবৈধ ভাবে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীরা আদালতে মামলা করেছে।

মামলার আর্জি ও সূত্রের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়- কক্সবাজার সদর উপজেলার আওতাধীন ঝিলংজা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদার পাড়া এলাকার অলী আহমদ সিকদার এক খণ্ড জমি তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও মেয়ে মনোয়ারা বেগম দীর্ঘদিন ধরে শান্তিতে ভোগদখল করে আসছিল। এলাকার সকল ব্যক্তিই এসব বিষয়ে জ্ঞাত আছেন। এ অবস্থায় অলী আহমদ সিকদার এর মৃত্যুর পর তার ছেলে মেয়েরা এই জমিতে বাড়ি নিমার্ণ করার উদ্যোগ নেয়। তারা নতুন করে বাড়ি করতে উদ্যোগ নিলে জনৈক মোহাম্মদ মুবিন, খোরশেদ আলম লালু ও জন্নাত আরা বেগমসহ আরও ৪-৫ জন লোক মোস্তাফিজুর রহমান ও মনোয়ারা বেগমকে কাজে বাধা দেয়। ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া এ জমিতে পূর্ব থেকেই তাদের বাড়ি ছিল এবং তা তারা দখলে আছে। যা এলাকার সকলে জ্ঞাত আছে। দীর্ঘদিন থেকে তারা ভোগ দখলে থাকলেও কেউ কখনও তাতে বাধা সৃষ্টি করেনাই ও ব্যঘাত সৃষ্টি করারও কোনো কারণ নাই।

জানা গেছে- জমির মূল বিএস ২৫ নম্বর খতিয়ানের বিএস দাগ নম্বর ৪৮৬৮ এর ১৭ শতক জমির রেকর্ডিয় মালিক মোস্তাফিজুর রহমান ও মনোয়ারা বেগম এর পিতা অলী আহমদ। এ বসতভিটে শ্রেণীর জমির বিপরীতে তারা সন সন খাজনা দাখিল করে আসছিলেন। এতে মোহাম্মদ মুবিন, খোরশেদ আলম লালু ও জন্নাত আরা বেগমসহ সংশ্লিষ্টদের কোনো প্রকার স্বত্বসামিত্য নাই এবং কখনও ছিলো না। সম্প্রতি দেশে জমির মূল্য বৃদ্ধির পটভূমিতে এ জমির উপর ওই চক্রটির লোলুপ দৃষ্টি পড়ে এবং কোনো প্রকার স্বত্ব না থাকার পরও সম্পূর্ণ গায়ের জোরে এ জমি দখল করার পাঁয়তারা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে ২টার দিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ভাড়াটিয়া মাস্তান ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে এ জমিতে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে মারাত্মক অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে জমির মালিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রাণনাশের হুমকী দেয়। এ সময় তারা পরে আবার এসে এ জমি দখলে নিবে বলে জানিয়ে এতে বাধা দিলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকী দিয়ে চলে যায়। বর্তমানে এলাকার বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে এ জমি গায়ের জোরে দখলে নিবে বলে হকাবকা করতেছে এবং দুদান্ত সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে এ  জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা করতেছে।

এদিকে এ সব অভিযোগের কথা উল্লেখ করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারামতে একটি আবেদন করেছেন। আদালত এ আবেদন আমলে নিয়ে শান্তিভঙ্গের আশংকা থেকে ১৪৪ ধারা নোটিশ জারি করেন এবং সহকারী কমিশনার ভূমিকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নিদের্শনা দেন। একই সাথে থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি)কে এখানে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আদেশ দেন।

এদিকে প্রতিপক্ষের লোকজন এতোই বেপরোয়া যে- স্থানীয় ভাবে একাধিক শালিসি দরবারের মাধ্যমে ও থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে একাধিকবার বিরোধ মিমাংসার সিদ্ধান্ত হয়, কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত না মেনে অবৈধ দখলের জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ মুবিনের স্ত্রী ও তার সন্তান অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেন। তাদের দাবি- উলটো প্রতিপক্ষের লোকজনই তাদের উপর অন্যায় করছে।

Powered by Blogger.