সদর হাসপাতালের হালচাল:বিশেষ জেলায়, ৪০ লাখ মানুষের সেবায় চিকিৎসক ৪৯ জন
সরকারি
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২
সালের
জনশুমারি অনুযায়ী কক্সবাজার জেলার
জনসংখ্যা ২৮
লাখ
২৩
হাজার
২৬৮
জন।
এর
সঙ্গে
যুক্ত
হয়েছে
আরও
প্রায়
১২
লাখের
বেশি
রোহিঙ্গা শরণার্থী। সব
মিলিয়ে
প্রায়
৪০ লাখ মানুষের জন্য
জেলার
একমাত্র বৃহৎ
এই
সরকারি
হাসপাতাল কার্যত
হিমশিম
খাচ্ছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো জানান, এই বিপুল
জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবায়
৬৮টি অনুমোদিত চিকিৎসক পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৪৯ জন। অর্থাৎ ১৯টি
পদ
দীর্ঘদিন ধরে
শূন্য
রয়েছে।
এতে
করে
প্রতিজন চিকিৎসককে গড়ে
৮২ হাজার রোগীর চাপ
সামলাতে হচ্ছে।
নার্স
সংকটও
রয়েছে
চরম
পর্যায়ে। ১৫৭টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ১১৩ জন নার্স। আর চতুর্থ
শ্রেণির কর্মচারী ৪২
পদের
বিপরীতে কর্মরত
আছেন
মাত্র
১৩
জন।
তত্ত্বাবধায়ক আরও
জানান,
যদিও
হাসপাতালটি ২৫০
শয্যার,
কিন্তু
প্রতিদিন গড়ে
৮০০ জন রোগী ভর্তি থাকেন, যা ধারণক্ষমতার তিন
গুণ।
এর
বাইরে
প্রতিদিন বহির্বিভাগে সেবা নিচ্ছেন প্রায় ২,৫০০ রোগী।
চিকিৎসক ও
নার্সরা জানান,
কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপের
কারণে
মানসিক
ও
শারীরিকভাবে ভেঙে
পড়ছেন
অনেকেই। রোগীরা
অভিযোগ
করছেন—সময়মতো চিকিৎসা পাওয়া
যাচ্ছে
না,
ওষুধের
সংকট
আছে,
বেড
সংকটে
মেঝেতেই থাকতে
হচ্ছে।
সম্প্রতি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)
সাময়িকভাবে বন্ধ
হয়ে
যাওয়ার
ঘটনায়
উদ্বেগ
বেড়েছে
আরও।
তবে
এই
বিষয়ে
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কক্সবাজারকে “বিশেষ জেলা” উল্লেখ করে
জানিয়েছেন—“এখানে
যেনো
কোনোভাবেই চিকিৎসা সেবা
ব্যাহত
না
হয়।”
তত্ত্বাবধায়ক ডা.
মং
টিং
ঞো
বলেন,
"জনবল
ও
অবকাঠামো অনুযায়ী একটি
নির্দিষ্ট পরিমাণ
সেবা
দেওয়ার
সক্ষমতা আমাদের
আছে।
কিন্তু
আমরা
তার
তিন
গুণের
বেশি
চাপ
নিচ্ছি। এমন
পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই আমরা
লড়াই
করছি।"
স্থানীয়রা বলছেন,
কক্সবাজার দেশের
অন্যতম
পর্যটন
নগরী
ও
রোহিঙ্গা আশ্রয়দাতা জেলা
হিসেবে
জাতীয়ভাবে বিশেষ
গুরুত্বের দাবিদার। তাই
অবিলম্বে এই
হাসপাতালের জনবল
পূরণ
ও
সেবার
মানোন্নয়ন নিশ্চিত করা
দরকার।