সিডনিতে বিশাল ফিলিস্তিন সমর্থন মিছিল, ইসরায়েলি মন্ত্রীর গাজা দখলের হুমকি
আর্ন্তজাতিক সংবাদ: রোববার (৩ আগস্ট) সিডনির কেন্দ্রস্থলে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনে বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ‘গাজায় অবরোধ তুলে নাও’, ‘ত্রাণ পৌঁছাতে দাও’—এমন নানা প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিলে অংশ নেন। বিখ্যাত হারবার ব্রিজ বন্ধ হয়ে যায় কিছু সময়ের জন্য। প্রতিবাদীরা দাবি জানান, গাজায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহে বাধা দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে এবং সেখানে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ তৈরি করা হচ্ছে। অনেকে রান্নার বাসন হাতে নিয়ে মিছিলে অংশ নেন, যা প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয় দুর্ভিক্ষের।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই মিছিলে উইকিলিক্সের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান আসাঞ্জও অংশগ্রহণ করেন, যিনি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর।
অন্যদিকে, একই দিনে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইটামার বেন-গাভির গাজা দখল করে সেখানে ইসরায়েলের পূর্ণ সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পক্ষে কথা বলেন। জেরুসালেমের টেম্পল মাউন্টে এক বিতর্কিত প্রার্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এদিকে, গাজার মানবিক সংকট ঘিরে হামাস একটি বিবৃতিতে জানায়, রেডক্রস চাইলে তারা ইসরায়েলি বন্দিদের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে দেবে, তবে এর শর্ত—ইসরায়েলকে স্থায়ীভাবে ত্রাণ করিডোর খুলে দিতে হবে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, হামাসের হাতে বন্দি এক ইসরায়েলি এভিয়েটর, ডেভিড, একটি সুড়ঙ্গের সামনে নিজেই গর্ত খুঁড়ছেন এবং বলছেন—নিজের কবর তৈরি করছেন।
এই ভিডিও প্রকাশের পর ইসরায়েলে আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রেডক্রসের মাধ্যমে বন্দিদের কাছে ওষুধ ও খাবার পাঠানোর আহ্বান জানান।
এই পাল্টাপাল্টি বার্তা ও প্রতিক্রিয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে, গাজার মানবিক সংকট ও রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও জটিল আকার নিতে চলেছে।
